তবু এই দেয়ালের শরীরে যতো ছেড়া রং, ধুয়ে যাওয়া মানুষ পেশাদার প্রতিহিংসা তোমার চেতনার যতো উদ্ভাসিত আলো রং আকাশের মতন অকস্মাত নীল নীলে ডুবে থাকা তোমার প্রিয় কোন মুখ তার চোখের কাছাকাছি এসে কেন পথ ভেঙ্গে দুটো মানচিত্র এঁকে দুটো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভুতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ তবু এইখানে আছে অবলীল হাওয়া জানালা বদ্ধ ঘরে আসে যায় দেয়াল ধরে বেড়ে ওঠে মধ্যরাত তোমার ছায়ায় জমে এসে ভয় আলোকে চিনে নেয় আমার অবাধ্য সাহস ভেতরে এখন কি নেই কাপুরুষ অন্ধকার একা তোমাকে ঘিরে পথগুলো সব সরে যায় রাত্রির এই একা ঘর ঝুলে আছে শূন্যের কাঁটাতারে দুটো মানচিত্র এঁকে দুটো দেশের মাঝে মিশে আছে অনুভুতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ তবু এই দুটি কাঁটাতারে, শহরের মতো করে ভিড়ে ভরে গেছে ঘুম আমার অচেতন কখন বেওয়ারিশ, মাটির কাছে এসে সময়কে এপিটাফ ভেবে হাঁটু গেড়ে বসে তবু এখানে বাতাস আসে দূরত্বের উৎসাহে শরৎ জমে আছে ঠান্ডা ঘাসে তোমার চোখের মাঝে দূরের একা পথ এখানে ভাঙ্গে না দুটো দেশে মেঘের দূরপথ ভেঙ্গে বুকের গভীর অন্ধকারে আলোর নির্বাসন স্মৃতির মতো অবিকল স্বপ্নঘর বাঁধা স্মৃতির অন্ধ নির্জনে সময় থেমে থাকে অনাগত যুদ্ধের বিপরীতে এখানে স্বরনীর লেখা নেই নাম, কোন শহীদ সড়কে তোমার জন্য জমা থাকে শুধু স্বপ্নঘর জানালায় ঝুলে থাকে না, শূন্যতার অবচেতন তোমার ঘরের অন্ধ আলোয় অদেখা এখানে নির্জন অনিকেত প্রান্তর তবু তোমার ভাঙ্গা স্মৃতি, ছেঁড়া স্বপ্ন, দোমড়ানো খেলাঘর ছেঁড়া আকাশ ভাঙ্গা কাঁচে আলো আর অন্ধকার তোমার তোমার দেয়ালে কত লেখা, মানুষের দেয়ালে দেয়াল বেড়ে ওঠে কাঁটাতার, এখানে মহান মানচিত্রের ভাগাড় তোমার শূন্য ঘরে ভরা স্মৃতি জড়ো পাথরে লেখা নাম শহীদ স্বরনী, জানালার বাইরে ভেসে গেছে দূরের আকাশ বিঁধে আছি সময়ের কাঁটাতারে বিঁধে আছো ছেঁড়া আকাশের মতো তুমি তোমার স্বপ্নের, দলাপাকানো বাসি কবিতা, নষ্ট গানে তোমার জানালার বাইরে শূন্য আকাশ তবু অনিকেত এই প্রান্তরে এখানে এখনো শরতের প্রচুর বাতাসে সবুজের ঘ্রানে ভরে আছে অন্ধকারে ঘর তোমার দেয়ালে এখন শুধু মৃত্যুর মৃত রেখাপাত তোমাকে কড়া নাড়ে স্মৃতিরা ভাঙ্গা স্বপ্ন ঘুমের মতো নেশাময় কত কত শিশু কত আলোর মশাল নিভে গেছে নিভে গেছে কত অচেনা ভয় তোমাকে এখন অপরিণত এক অচেনা স্মৃতি মনে হয় তোমার জানালার বাইরে শূন্যে দূরের স্বপ্নঘর, ঝুলে আছি নির্জনতায় মৃত্যু কি অনিকেত প্রান্তর ?